সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার এক সময়ের তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড় হাজী মীর হোসেন মীরু। ফতুল্লার এক গডফাদারের নির্দেশে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
এতে মীরুর মৃত্যু না হলেও সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন। ১২ বছর ধরে মীরু বিচারের দাবিতে ধুঁকে ধুঁকে কাঁদছে। কিন্তু প্রভাবশালী ওই গডফাদার ও তার সহযোগী সজল বাবুর্চি এখনো রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
মীরু গনমাধ্যমকে জানান, ১৭ এপ্রিল আমার জীবনের ভয়াবহ একটি দিন ২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল এই দিনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা গুলি করে কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি বেচেঁ গেলেও অচল হয়ে গেছে আমার দুটি পা যা আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক।
আমি শামীম ভাইয়ের আদর্শের একজন কর্মী আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাব, যতই বাধা আসুক না কেন। আর সবচেয়ে বেশি দুঃখের বিষয় ১২ বছরেও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারীদের বিচার হয়নি কবে হবে তাও জানিনা। তাই প্রশাসনের প্রতি আমার অনুরোধ অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৭ এপ্রিল শামীম ওসমানের সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রসুলপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেছন থেকে গুলি চালায় সজল বাবুর্চি বাহিনী। এরপর থেকে মীরু পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে। কিন্তু ঘটনার ১২ বছর অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।