সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)
প্রেমের প্রলোভনে বিয়ে, অতঃপর টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে চম্পট, কে এই সাথী বাড়ৈ?
গত ০১/১১/২০ তারিখ সকাল ১১টার দিকে সাথী বাড়ৈ তার স্বামী সাগর চন্দ্র দাসের বাসা থেকে ০৬ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সাগর চন্দ্র দাস বলেন, ১১মাস আগে সাথী বাড়ৈ এর সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এর ১৫ দিন পরেই সাথী সাগরকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাগর তাতে রাজি না হয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলে সাথী তার মামার বাসা থেকে বেরিয়ে যায় এবং সাগরকে বলে যে তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে।
এরপর বিভিন্ন কলাকৌশল খাটিয়ে সাথী সাগরকে বিয়ে করতে রাজি করায়। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৭তারিখে তাদের বিয়ে হয়। ঠিক বিয়ের ২মাস পর সাগর জানতে পারলেন যে সাথীর এর পূর্বেও একটি বিয়ে হয়েছিল।
তা মেনে নিয়েই সাগর সংসার করছিলেন। দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও হঠাৎ করে গত ২০২০ সালের ১নভেম্বর সকাল ১১টায় সাথী ৬লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ-লংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। সাথী পালিয়ে গেলে সাথীর মা ও ভাইকে ফোন দিলে এবিষয়ে তারা কিছুই জানেন না এবং সাথী এখনও বাসায় আসেনি বলে মন্তব্য করেন।
তারপর ওই দিন রাতে সাগর সাথীর মামার বাসায় গেলে সেখানে তাকে না পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ করার পর ৬তারিখ সাগরের পরিবার সাথীর বাসায় যায়। সাথী বরিশাল উজিরপুর থানার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সাগর আরও বলেন, তার পরিবার সাথীর বাড়িতে যাওয়ার পর তারা আশেপাশের লোকজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে সাথীর নাকি এর আগেও বিয়ে হয়েছিল।
সাগরের সাথে যে সাথীর বিয়ে হয়েছে এই বিষয়ে সাথীর মা-বাবা ও ভাই ছাড়া কেউই জানেন না।এর আগে যে স্বামী লিটন দাসের বাড়ি থেকেও সাথী স্বর্ণ-লংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।এলাকাবাসী জানান, সাথীর এর আগেও এরকম আরও রেকর্ড রয়েছে।
তার এলাকার কোন মানুষের সাথেই তাদের ভালো কোন সম্পর্ক নেই শুধু মাত্র সাথীর এই প্রতারণার কারণে।
এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে সাথীকে আইনের আওতায় আনার জন্য সাগর চন্দ্র দাস র্যাব-১১ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।