1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নারীমুক্তির প্রাণপুরুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.) - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠিত। স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি আজমেরী ওসমানের শ্রদ্ধাঞ্জলী ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধূ নিহত পলাতক চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমি সত্যিই হতবাক একেএম সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ ০৫ নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের কোর্টে পেরন রূপগঞ্জে ইমাম সম্মেলনে গাজী গোলাম মূর্তজা মুরুব্বিদের সমর্থনে নির্বাচন করবো হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে সিয়াম সাধনায় ব্রত হওয়ার আহ্বান নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মতবিনিময়সভা শামীম ওসমা‌নের সুস্থতা কামনায় ক‌বির‌ হে‌সে‌নের উদ্যো‌গে বি‌শেষ দোয়া ভূয়া সিআইডি কর্মকর্তা সেজে একাধিক তরুণীর সাথে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

নারীমুক্তির প্রাণপুরুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
  • ১০০ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জ অনলাইন ডেস্কঃ

পুরুষশাসিত সমাজে নারী পুতুলের মতো ব্যবহার হচ্ছে। যার যেভাবে খুশি সেভাবেই নারীকে ভোগ করছে। অবাক হলেও সত্য, এ যুগের নারীবাদীরাও নারীকে মুক্ত নয় বরং আধুনিক দাসী-বাঁদি করে রাখার জন্য নির্লজ্জ সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

আমরা দেখেছি, বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির আন্দোলন করেছেন; আর আজকের নারীবাদীরা নারীর গলা থেকে লোহার শিকল খুলে সোনার শিকল পরিয়ে দিয়েছে। নজরুল এক কবিতায় বলেছেন, শেকল সোনার হলেও তা বন্দিই করে, মুক্ত করে না। নারীমুক্তি কোন পথে তা দেখতে চাইলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে চোখ ফেরাতে হবে আধুনিক নারীমুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দিকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারাবিক অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, পৃথিবীর কোনো নারীবাদী ব্যক্তি-সংগঠন যা করতে পারেনি, হজরত মুহাম্মদ (সা.) তা করে দেখিয়েছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, হে পুরুষ সমাজ! তোমাদের বেহেশত হল একজন নারীর পায়ের নিচে; যিনি তোমার মা হন। আর সে বেহেশতের যোগ্য হওয়ার জন্যও একজন নারীর সার্টিফিকেট প্রয়োজন, সে তোমার স্ত্রী হয়।

অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার স্ত্রী তোমাকে ভালো মানুষ বলে সার্টিফাই না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি জান্নাতের ফিটনেস পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে প্রমাণিত হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, পৃথিবীর সব মানুষের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক, সুব্যবহারের কমতি নেই, শুধু স্ত্রীর সঙ্গে আমরা সুন্দর ব্যবহার, মিষ্টি আচরণ করতে পারি না। রাসূল (সা.)-এর সব স্ত্রীই স্বীকৃতি দিয়েছেন, আমাদের স্বামী নারীজাগরণের মুক্তির দূত নবী (সা.) কখনও আমাদের ধমক দেননি এমনকি চোখ রাঙিয়েও কথা বলেননি।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, অস্বীকার করছি না আজকের মুসলিম পরিবারগুলোতে নারীরা অবহেলিত, নির্যাতিত এবং লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। এর প্রথম কারণ হল, নবী জীবন এবং কোরআনে নারীর যে মহান মর্যাদার কথা বলা হয়েছে এ দেশের মানুষ তা জানে না অথবা জানলেও স্বীকার করতে চায় না। বড় দুঃখ হয়, কোরআনের দোহাই দিয়ে নামধারী আলেমরা বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর চেয়ে পুরুষের মর্যাদা বেশি। অথচ সূরা হুজরাতে আল্লাহ বলেছেন, ‘নারী-পুরুষের মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য নেই, আল্লাহর চোখে সবাই সমান। তবে এদের মধ্যে যে তাকওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে, আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা বেশি।’ সূরা নিসার একটি আয়াতের অপব্যখ্যা করা হয় আমাদের দেশে। আর-রিজালু কাওয়ামুনা আলাননিসা। এর অর্থ করা হয়, নারীর ওপর পুরুষের কতৃত্ব-শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আসলে আয়াতে পুরুষের মর্যাদা বেশি এ কথা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, শারীরিক ও অন্যান্য কারণে পুরুষ বেশি শক্তিশালী। এ কথা বলাবাহুল্য, শারীরিক সক্ষমতা দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে মর্যাদা নির্ধারিত হয় না।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মারুফের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, নারীর সম্ভ্রমহানি বন্ধ করার কার্যকর উপায় কী? উত্তরে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা ভয়ংকরভাবে বেড়েছে। মুসলিম তরুণরা এতটা আগ্রাসী হয়ে পড়ার কারণ হল, পরিবার থেকে তারা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ধর্মীয় মর্যাদা শিখতে পারছে না। পরিবারগুলোতেও নারীর প্রতি শ্রদ্ধা-মমতা কমে যাচ্ছে। যৌতুকপ্রথা, ছেলে সন্তানকে গুরুত্ব দেয়া এসব ধ্যানধরাণা মূলত হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি। আজো আমাদের মনোজগত থেকে এগুলো বের করে দিতে পারিনি।

নারীর সম্ভ্রমহানি রোধে রাসূল (সা.) মৃত্যুদণ্ডের আইন করার পাশাপাশি তিনি আরও অনেক কার্যকরী পথেও হেঁটেছেন। এক যুবক এসে বলল, হুজুর! আমি ইমান আনব, কিন্তু ব্যভিচার ছাড়তে পারব না। এ কথা শুনে অন্যান্য সাহাবিরা রেগে গেলেন।

নবীজি (সা.) বললেন, সে তো তার মনের কথা বলেছে। তোমরা রাগ করছ কেন। রাসূল (সা.) ওই যুবককে বললেন, তুমি যার সঙ্গে ব্যভিচার করবে সে কারও মা, মেয়ে, স্ত্রী হবে; তুমি কি চাও তোমার স্বজনদের সঙ্গে কেউ এমনটি করুক? যুবক বলল, আমি কখনই এমনটি চাইতে পারি না। রাসূল (সা.) বললেন, তাহলে তুমি কীভাবে আরেকজনের মা-মেয়ে-স্ত্রীর সঙ্গে এ ঘৃণ্য কাজ করতে পারবে? এ কথা শুনে যুবক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মন থেকে ব্যভিচারের ইচ্ছা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।

আজ যারা সমাজ ও দেশের কর্ণধার তাদের আরও বেশি সতর্ক-সজাগ হতে হবে। যোগ্য আলেমদের বাছাই করে কাজে লাগাতে হবে। মসজিদের ইমামদের যদি সরকার বেতন নির্ধারণ করে দিতে পারত, তাহলে সরকারের নির্ধারিত বিষয়ে তারা খুতবা দিতে বাধ্য হতো। সরকার যদি বলত, নারীর সম্ভ্রমহানি, মাদক, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলতে হবে, আলেমরা তাই বলতেন। এভাবে যখন দেশের সব মসজিদ থেকে একযোগে একই ধ্বনি উঠবে, তখন ধর্মভীরু মানুষ তা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবে।

সাক্ষাৎকার শেষে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মারুফ যুগান্তরের পাঠকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের আত্মর মাগফিরাত কামনা করেছেন।

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.)-এর ভূমিকা সম্পর্কে মারুফ স্যারের পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখতে ভিজিট করুন-

www.youtube.com/channel/UCQELjkj3WGNobIeTy9g11w0

লেখক : সাংবাদিক

Email: alfatahmamun@gmail.com

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL