1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জুতার মালা পরালেন মসজিদের ইমামকে - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
খানপুরে আলহাজ্ব মোঃ কাজিমউদ্দি প্রধানের জানাজা অনুষ্ঠিত বেদে পল্লীতে শিশুদের হাতে ঈদ উপহার সিয়াম তালুকদার এর পক্ষ থেকেনারায়ণগঞ্জবাসীকে ঈদ এর শুভেচ্ছা য়ানূর তালুকদার এর পক্ষ নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জামাল তালুকদার এর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক একরামপুর যুব সমাজের উদ্যোগে গরুর গোস্ত সহ ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।  অয়ন ওসমা‌নের প‌ক্ষে ছিন্নমূল শিশু‌দের ইফতার ও ঈদ উপহার দি‌লো ছাত্রলীগ নেতা নিলয় ৩ হাজার প‌রিবার‌কে ঈদ সামগ্রী উপহার দি‌লো প্রয়াত না‌সিম ওসমান পুত্র আজ‌মেরী ওসমান সা‌বেক কমিশনার শেখ নিজাম আলমের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া অনু‌ষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপল‌ক্ষে না’গঞ্জ ইউনেস্কো ক্লাবের বস্ত্র বিতরণ 

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে জুতার মালা পরালেন মসজিদের ইমামকে

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০
  • ১৩২ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে মসজিদের ইমামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে।

সেইসঙ্গে ওই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন রাতেই ভুক্তভোগী ইমাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর পরই বজলু রহমান আকন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লাঞ্ছনার শিকার ওই ইমামের নাম শহিদুল ইসলাম।

তিনি মধ্য দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং স্টিমারঘাটের অদূরে সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে তার কার্যালয়ে সালিশ বসানো হয়।

এ সময় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মো. ফিরোজ, বজলু আকন, আবুল বয়াতী, মো. কামরুজ্জমান, রিন্টু দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল হিসাব নম্বর পাঠানো হয়।

তালিকা পাঠানোর সময় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মাদ্রাসায় না আসায় সেখানে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১ হাজার ৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর অভিভাবককে জানাতে ভুলে যান। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বাবা ৩০ মে মাদ্রাসায় এসে শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন এবং তার মোবাইলের সিমটি নিয়ে যান। পরে বিষয়টি দড়িচড় খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি জানতে পেরে সালিশের নির্দেশ দেন।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হলে শহিদুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়। এরপর জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়।

দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আনিসুর রহমান বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়েছে। এটা উচিত হয়নি। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন।

ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বর না থাকায় উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তির টাকা যে সিমে এসেছে, সেই সিমটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আর অফিসে নানা কাজের চাপে বিষয়টি মনেও ছিল না। কিন্তু এত ছোট একটি বিষয় নিয়ে এত কিছু হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। দীর্ঘ কর্মজীবনে কেউ কোনোদিন অভিযোগ করতে পারেনি।

কিন্তু সামান্য একটি ভুলের জন্য যে অবিচার আমার ওপর করা হয়েছে তাদের বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার পীযুষ চন্দ্র দে বলেন, ‘রাতে ঘটনাটি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রতক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দিতে বলেছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার দাস বলেন, উপবৃত্তির টাকা নিয়ে যাই হোক, তার বিচারের এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেই। যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তিনি দুই ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ছাড়া তিনি একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পনিতে চাকরি করেন। কয়েকগুণ টাকা মুনাফা দেওয়ার কথা বলে লোকজনদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠক করেছেন। সালিশ বৈঠকে তাকে ওই সব টাকা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। তিনি অপারগতা প্রকাশ করে নিজেই জুতার মালা পরেছেন। মেহেন্দিগঞ্জ থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুকুমার রায় বলেন, ইমামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL