1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
ফতুল্লায় ফোর মাডার মামলায় ২জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুলাই অপরাধীদের তালিকা না দেয়াও অপরাধ বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে নিয়ে অবমাননাকর আচরণের তীব্র নিন্দা অসুস্থ বিএনপি নেতা লাভলুর পাশে জমিয়তের মুফতি মনির কাসেমী ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধে ব্যর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারও জুলাই অপরাধী-দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার করুন  জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রোডমার্চ নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে এসপির অংশগ্রহণ  মুসলিম ভূখন্ডে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল। পুরো প্রজন্ম ধ্বংস করতে একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট: মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান 

ফতুল্লায় ফোর মাডার মামলায় ২জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১১৯ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জ:

স্টাফ রিপোর্টার (আশিক)

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফোর মাডার মামলায় দুই আসামীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে এই মামলার ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৯ আসামী উপস্থিত ছিলেন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৮ সালে সংগঠিত এই হত্যা মামলার রায়ে শাহপরান বলগেটের মাঝি মাল্লা, নাসির মিয়া, মঙ্গল, ফয়সাল, হান্নান দের গলা কেটে হত্যা করে বলগেট ডাকাতির অপরাধে দোষী সাভ্যস্থ করে দুই আসামীকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর এবং পলাতকদের দ্রুত গ্রেফতার করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

দণ্ডিত আসামীরা হলেন, চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, মহি ফিটার, আরিফ।

পলাতক ছিলেন, জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল ও ইব্রাহিম। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহি ফিটার ও তাজুল ইসলাম ।

মামলার বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কে এম ফজলুর রহমান বলেন, ‘২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) ‘শাহপরান’ সিলেট থেকে পাথর বোঝাই করে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সিমেন্ট কারখানায় আসে। পাথর খালাস করে দেওয়ার পর বাল্কহেডটির মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। বাল্কহেডের মেশিন ঠিক করার জন্য মহী ফিটার ও তাজু ফিটারকে খবর দেন চালক নাসির। তারা এসে বাল্কহেডটি ঠিক করে টেস্ট করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর চরে লাগিয়ে দেয়। ওইসময় বাল্কহেডে নাসির মিয়া, মঙ্গল, ফয়সাল ও হান্নান ছিল।

পরে যখন বক্তাবলী চর থেকে বাল্কহেডটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তখন ওই চার জন নিখোঁজ ছিল। তিন দিন পর মেঘনা নদীর চরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নাসির মিয়া ও মঙ্গলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু অন্য দুইজন তখনও নিখোঁজ ছিল।

পরে ২২ সেপ্টেম্বর শাহপরান বাল্কহেডের মালিক এরসাদ মিয়া ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে জলিল, দুলাল, ইব্রাহিম, দুলাল মিয়া, মজিবর, শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও আরিফকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে সাত জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা স্বীকার করে চার জনকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, ‘তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিচার চলাকালীন ইব্রাহিম নামে এক আসামি মারা যায়।

অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের মধ্যে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দুই জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

একই সঙ্গে নয় জনের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

বাল্কহেড ডাকাতির অপরাধে ১১ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL